সর্ববৃহৎ রবীন্দ্রনাথ এঁকে ‘ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’-এ নাম লিখিয়েছেন কৌশিক দে

রাজ্যের খবর শিক্ষা
সর্ববৃহৎ রবীন্দ্রনাথ এঁকে 'ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'-এ নাম লিখিয়েছেন কৌশিক দে
সর্ববৃহৎ রবীন্দ্রনাথ এঁকে ‘ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’-এ নাম লিখিয়েছেন কৌশিক দে

সর্ববৃহৎ রবীন্দ্রনাথ এঁকে ‘ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’-এ নাম লিখিয়েছেন কৌশিক দে – বোলপুরের বাহিরী গ্রামের বাসিন্দা কৌশিক দে, সদ্য বোলপুর কলেজ থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ। বাহিরী ব্রজসুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনার জন্য বোলপুর কলেজে ভর্তি হয়েছিল সে৷ পাশাপাশি, ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকায় প্রতি আগ্রহ। বোলপুরের একটি বেসরকারি আর্ট কলেজ থেকেই শিল্পকলায় হাতে খড়ি তাঁর।

রবীভূমের এই শিল্পী বর্তমানে দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ রবীন্দ্রনাথ এঁকে ‘ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’-এ নাম লিখিয়েছেন৷ সে জানান, ১৩০ টি আর্ট পেপারকে আঠা জুড়তে হয়েছে প্রথমে৷ বিষটি টেকসই করার জন্য পিছনে দেওয়া হয়েছে শাড়ি। প্রথমে স্কেচ করা, পরে ওয়েদার কোট রঙ ব্যবহার করে আঁকা হয়েছে এই বৃহৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিটি৷ সময় লেগেছে ৫ দিন৷ ছবিটি আঁকতে প্রায় ৫ থেকে ৬ লিটার রঙ খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে খরচও হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা৷

কৌশিক দে
কৌশিক দে

এই ছবি আঁকার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত ভিডিও ও স্টিল ছবি ‘ইণ্ডিয়া বুক’-কে পাঠিয়ে রেকর্ডসের জন্য আবেদন করেছিল কৌশিক। সমস্ত দিক বিবেচনা করে সদ্য ‘ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস’ তাঁর নাম নথিভুক্ত করেন৷ এই মর্মে কৌশিককে একটি সার্টিফিকেট, মেডেল, পরিচয়পত্র সহ ইণ্ডিয়া বুক দেওয়া হয়। তাঁর এই কৃতিত্বের খুশি বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে পরিজন-প্রতিবেশীরা। তাঁর আঁকা বৃহৎ রবীন্দ্রনাথ নিয়েও উৎসুক সকলে৷

কৌশিক বলেন, “আমাদের প্রত্যেকের ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার মাঝেই রবীন্দ্রনাথ। তাই গুরুদেবকে সম্মান দিতে, ভালোবেসে কিছু করব এটাই ভেবেছিলাম। তাই এঁকে ফেললাম৷ শুনেছিলাম, রেকর্ডের কথা৷ তাই ইমেল মারফৎ তাদের কাছে আবেদন করি৷ তারা আমার কাছে বহু তথ্য চায়৷ তারপর এই স্বীকৃতি দেয়৷ আমি ভাবতেও পারিনি এই স্বীকৃতি পাব৷ খুবই খুশি সবাই৷”

আরও পড়ুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *