৯৭ বছর ধরে নির্ভুল সময় দিয়ে চলেছে হাওড়া রেল স্টেশনের বড় ঘড়ি

৯৭ বছর ধরে নির্ভুল সময় দিয়ে চলেছে হাওড়া রেল স্টেশনের বড় ঘড়ি

ভ্রমণ

৯৭ বছর ধরে নির্ভুল সময় দিয়ে চলেছে হাওড়া রেল স্টেশনের বড় ঘড়ি – নস্টালজিক! এই সেই বড় ঘড়ি। হাওড়া জংশন রেল স্টেশনের ৮ নম্বর গেট দিয়ে ঢোকার মুখে তা শোভা পাচ্ছে। এ কথা অজানা নয় নিত্য অফিস যাত্রী বা রেলযাত্রী সাধারণের কাছে। প্রিয়জরা এই ঘড়ির কাছে, এই ঘড়ির নীচে এসে দাঁড়ায়, অপেক্ষা করে আপনজনদের জন্য এবিষয় কারোর অজানা নয়।

৯৭ বছর ধরে নির্ভুল সময় দিয়ে চলেছে এই ঘড়ি। অনেকে আবার নিজের হাতঘড়িও মিলিয়ে নেন স্টেশনের এই ঘড়ি দেখে। প্রায় শতাব্দীর দোরগোড়ায় পথ চলার সাক্ষ্য বহন করছে। এই ঘড়ির নীচে একে অপরকে জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে খুঁজে পেয়েছেন নিজ আত্মীয়কে তেমনই আবার দীর্ঘ অপেক্ষার পর রাগে ও অভিমানে ফিরেও গিয়েছেন। প্রেমিক-প্রেমিকার খুনসুটি থেকে বিয়ের ও সাক্ষী এই বড় ঘড়ি। সিঁদুর দান ও মালা বদলের ঘটনা ও বড় ঘড়ির তলায় ঘটেছে। ঘড়িকে ঘিরে নানা উপাখ্যান। তুমুল ঝগড়া ঝাঁটি ও নানা বিষয়ে হয়েছে এই রেল স্টেশনের ঘড়ির পাদদেশে। পথচলতি জনতা তা নিয়ে উপভোগ করেছেন ।

এই ঘড়ির দুইটি ডায়াল। একটি হুগলি নদীর দিকে ও অন্যটি হাওড়া বাসস্ট্যান্ডের দিকে। “বিগবেন”ও বলা হয়ে থাকে এই ঘড়িটিকে। হাওড়া জংশন রেল স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার স্বপন অধিকারীর মন্তব্য, এক কথায় নস্টালজিয়া।

এদিকে, বেহালার পর্ণশ্রী থেকে গোরা সেন ও ফুল বাগান, কাঁকুড়গাছি থেকে সিদ্ধার্থ সাহা, উভয়েই জরুরি ভিত্তিতে যাচ্ছেন শান্তিনিকেতন। পারস্পরিক অপেক্ষার জন্য উভয়েই একমত। অবশেষে মুখোমুখি হতে উৎকন্ঠার অবসান। বড় ঘড়ির তলায় অনায়াসে সাক্ষাৎ করেন। দুজনের মুখে এই বড় ঘড়ি নিয়ে স্মৃতিচারণ।

উত্তর কলকাতার কুমারটুলি থেকে স্বপ্না কুন্ডু এসে হাজির বড় ঘড়ির তলায়। মেদিনীপুর যাবে তাঁর ছেলে সাঁতার প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে। অপেক্ষারত অবস্থায় মোবাইল ফোনে ছেলেকে বললেন, চটজলদি বড় ঘড়ির নিচে পৌঁছতে হবে। এখনও রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে হওয়া বহু অনুষ্ঠান রাজনৈতিক, ধর্মীয় যে কোনো রকম সমাবেশ হলে তাদের সংযোগ রক্ষায় এই ঘড়ির অবদান অনেক। সেই ট্রাডিশন চলছে ..

আরও পড়ুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *