শীতকালকে জড়িয়ে থাকে শীতের পোশাক

দেশ

এ শহরে শীত বড়ো আদুরে। ক্ষণিকের অতিথি শীত তাই ছোটো বড়ো সকলের কাছেই খুবই উপভোগ্য। শীতকাল মানেই হরেক রকমের গরম পোষাকে নিজেকে সাজিয়ে তোলার অমোঘ আকর্ষণ। রং বাহারি, রকমারি গরম পোষাকের হাতছানি এড়িয়ে যাওয়া বোধহয় খুব সহজ নয়। তাই তো শহরে পরিযায়ী পাখির মতো প্রতিবছর শীতবস্ত্রের পসরা নিয়ে হাজির হন ভিন রাজ্যের শীতের পোষাক ব্যাবসায়ীরা।

অতি পরিচিত সোয়েটার, কার্ডিগ্যানেও হাল ফ্যাশানের ছোঁয়া। রূপ রঙের বৈচিত্র‍্যের সমাহরে নিজেকে সাজিয়ে তোলার এই আমন্ত্রন আসে উত্তুরে হাওয়ার পরশে।পশমের ওমে নিজেকে জড়িয়ে নিতে শালের অফুরান চোখ ধাঁধানো সম্ভার, পরম যত্নে সাজানো কেতাদুরস্ত জ্যাকেটের সাম্রাজ্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া সত্যিই মুস্কিল। তাই শীতকাল এলেই প্রয়োজন ভুলে প্রিয়জনের জন্য উপহারই হোক, বা নেহাতই নিজের জন্যই হোক অন্তত একটা শীতের পোষাক কেনা চাই-ই চাই। স্বল্পদিনের অতিথি শীতের এমনই উন্মাদনা।

কচিকাঁচাদের জন্য আছে শীতের নানবিধ সামগ্রী। নানা রঙের টুপি, দস্তানা, কানচাপা নজর কাড়বেই কাড়বে।উত্তর কলকাতার হেঁদুয়াই হোক বা মধ্য কলকাতার ওয়েলিংটন স্কোয়ার, জিনিষের গুনগত মান ও সঠিক দাম নিয়ে নিশ্চিত এখানকার ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই। দরদাম নয় নির্ধারিত মূল্যেই এখানে পছন্দের জিনিস বেচা কেনায় স্বচ্ছন্দ এরা।

শীতের পরশের গল্প কম্বল ছাড়া শেষ হয়না। নরম মোলায়েম রঙিন কম্বলের পসরা সাজিয়েন দোকানীরা। ডিসেম্বরে পারদ নামছে, তাই শীতের সবটুকু আবেশ উপভোগ করতে একটু উষ্ণতার জন্য এখন অনেকেরই গন্তব্য ওয়েলিংটন স্কোয়ার থেকে হেঁদুয়া।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *