দর্শনের নতুন দিগন্ত নিয়ে স্কটিশ চার্চে প্রকাশিত গবেষণাধর্মী পুস্তক

দর্শনের নতুন দিগন্ত নিয়ে স্কটিশ চার্চে প্রকাশিত গবেষণাধর্মী পুস্তক

রাজ্যের খবর

দর্শনের নতুন দিগন্ত নিয়ে স্কটিশ চার্চে প্রকাশিত গবেষণাধর্মী পুস্তক – আজকের প্রযুক্তি-নির্ভর ও মতামত-ভিত্তিক জগতে “জ্ঞান” শুধুমাত্র কোনো একক ব্যক্তির চেতনার উৎস নয়। এখন জ্ঞানের পরিধি তৈরি হয় সামাজিক অবস্থা, প্রযুক্তির ব্যাবহার, নানা সামাজিক গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান ও মাধ্যমের প্রভাবে। প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানের সেই ব্যাক্তিগত বোধগম্যতা ও তার সামাজিক প্রভাব নিয়ে একটি বই প্রকাশ করলেন স্কটিশ চার্চ কলেজের দর্শনের অধ্যাপক ড. ভার্বি রায়। “Extended Knowledge & Social Epistemology” নামে এই গবেষণাধর্মী ও দার্শনভিত্তিক এই পুস্তকে তিনি তুলে ধরেছেন কিভাবে আমাদের জ্ঞান বা জানার পরিধি ক্রমশ ব্যক্তির অভিজ্ঞতা, সংস্কৃতি, ধর্ম, পরিবার, সম্প্রদায়, মিডিয়া ও সমাজের মতামত ও বিশ্বাস থেকেও প্রভাবিত হয়।

ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার (BRC)-এর সহযোগিতায় বইটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যক্ষা মধুমঞ্জুরি মন্ডল।

দর্শনের নতুন দিগন্ত নিয়ে স্কটিশ চার্চে প্রকাশিত গবেষণাধর্মী পুস্তক
দর্শনের নতুন দিগন্ত নিয়ে স্কটিশ চার্চে প্রকাশিত গবেষণাধর্মী পুস্তক

লেখক ড. ভার্বি রায় বলেন, ‘সামাজিক জ্ঞানতত্ত্ব’ (Social Epistemology) আধুনিক জ্ঞানতত্ত্বের এক বিশিষ্ট উপাংশ হয়ে উঠেছে, এবং কীভাবে জ্ঞান কেবল ব্যক্তির মানসিক অনুধাবন নয় বরং একটি সামাজিক নির্মাণ সেটাই তুলে ধরা হয়েছে এখানে। দর্শনের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের কাছে বইটি বিশেষভাবে উপযোগী।

বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে: জ্ঞান কীভাবে ব্যক্তি নয়, বরং সমাজ, প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি ও গোষ্ঠীগত আচরণের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। বর্তমান ‘ইনফরমেশন এজ’-এ সত্য ও ভ্রান্তির ব্যবধান নির্ধারণে সমাজের ভূমিকা কী এবং আধুনিক দুনিয়ায় তথ্য-প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কীভাবে ‘প্রসারিত জ্ঞানের’ ভিত্তি তৈরি করে তার সঠীক ব্যাক্ষা করা হয়েছে ।

প্রযুক্তি-নির্ভর ও মতামত-ভিত্তিক জগতে "জ্ঞান" শুধুমাত্র কোনো একক ব্যক্তির চেতনার উৎস নয়।
প্রযুক্তি-নির্ভর ও মতামত-ভিত্তিক জগতে “জ্ঞান” শুধুমাত্র কোনো একক ব্যক্তির চেতনার উৎস নয়।

ঐতিহ্যবাহী এই স্কটিশ চার্চ কলেজেই পড়াশোনা করেছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দ ও এ.সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের মতো ক্ষাতনামা দার্শনিকর। প্রতিষ্ঠানের গৌরবময় বিদ্যাচর্চার ধারায় ড. রায়ের গবেষণা নতুন মাত্রা যোগ করল বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষা মধুমঞ্জুরি মন্ডল।

ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের একাডেমিক ডিন ড. সুমন্ত রুদ্র বলেন, জ্ঞান যে কেবল ব্যক্তিগত নয়, বরং একটি সামষ্টিক সামাজিক বাস্তবতা এই উপলব্ধির মাধ্যমে দর্শনের নতুন আলোচনার পথ খুলে দিয়েছে এই পুস্তক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *