আর জি কর কাণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে কিছু তথ্য – আর জি কর মামলার সাজা ঘোষণা চলছে। শোনা হচ্ছে দোষী সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য। কলকাতার আর জি কর হাসপাতালের নারকীয় ঘটনা নাড়া দিয়ে গেছে দেশবাসীকে।
সাল ২০২৪, দিনটি ছিল ৯ অগাস্ট । আর জি কর হাসপাতালের চেষ্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার রুম থেকে রক্তাক্ত, অর্ধনগ্ন এক চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত দেহ উদ্ধার হয় । ময়না তদন্তের রিপোর্টে তাঁর শরীরে পাওয়া যায় নানা আঘাতের চিহ্ন । ধর্ষণ ও হত্যার প্রমাণ । অতিবাহিত ১৪ ঘণ্টা হয়নি কোন FIR ।
১০ অগাস্ট : দীর্ঘ পরীক্ষা ও অপরাধ স্বীকারের পর কলকাতা পুলিশ, সিভিক ভলিন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে । ওই দিনই চিকিৎসকরা ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড চান ।
১১ অগাস্ট রাজ্য় সরকার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সুপারইন্টেন্ডেন্ট সঞ্জয় বশিষ্টকে বদলি করে দেয় । তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ওঠে । আবাসিক চিকিৎসকদের সংগঠন FORDA দেশজুড়ে চিকিৎসকদের আন্দোলন ও কর্মবিরতিকে সমর্থন জানায় ।
১২ অগাস্ট : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আর জি করের ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৭ দিন সময় চেয়েছিলেন । আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সন্দীপ ঘোষকে ।
১৩ অগাস্ট : কলকাতা হাইকোর্ট আর জি করের ঘটনাকে অত্যন্ত ভয়াবহ বলে অভিহিত করেন । আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার কথা বলে । জাতীয় মহিলা কমিশন স্বতপ্রণোদিত মামলাটি হাতে নেয় । আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে বর্ধিত ছুটি নেওয়ারও আদেশ দেয় আদালত । ওই দিন মামলার তদন্ত ভার CBI-কে দেওয়া হয় ।
১৪ অগাস্ট : ২৫ জন সদস্যকে নিয়ে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে CBI । ওই দিন প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্য়োপাধ্যায় ।
১৫ অগাস্ট : আর জি করের জরুরি বিভাগ ও নার্সিং কক্ষে হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা । ওই দিন ১৭ অগাস্ট দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতির ডাক দেয় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্য়াসোসিয়েশন – IMA ।
১৬ অগাস্ট : আর জি করের জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয় ।
১৭ অগাস্ট : জাতীয় মহিলা কমিশন নিরাপত্তায় ঘাটতি ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তোলে ।
IMA প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানায় । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক চিকিৎসা ক্ষেত্রে যুক্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি কমিটি গঠন করে । কাজে ফেরার জন্য চিকিৎসকদের আহ্বান জানানো হয় ।
১৮ অগাস্ট : স্বতপ্রণোদিতভাবে আর জি করের মামলা গ্রহণ করে ২০ অগাস্ট শুনানির দিন ঠিক করে সুপ্রিম কোর্ট ।
১৯ অগাস্ট : টানা ৪ দিন সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে CBI । তার পলিগ্রাফ পরীক্ষার জন্য তদন্তকারী সংস্থাকে অনুমতি দেওয়া হয় ।
২০ অগাস্ট : প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ১০ সদস্যের টাস্ক ফোর্স তৈরি করে । চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জাতীয় নিরাপত্তা বিধি তৈরির জন্য় এই ফোর্স গঠন । রাজ্য় সরকার ও কলকাতা পুলিশকে
স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত ।
২১ অগাস্ট : হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বভার গ্রহণ করে CISF ।
আর জি করের ভাঙচুরের ঘটনায় ৩ পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয় ।
২৪ অগাস্ট : মূল অভিযুক্তর ও অন্য ৬ জনের লাই ডিটেকশন পরীক্ষা হয় ।
২৫ অগাস্ট : আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, প্রাক্তন সুপারিন্টেন্ডেন্ট সঞ্জয় বশিষ্ট ও অন্য ১৩ জনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই ।
২৬ অগাস্ট : পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় । মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানায় তারা ।
১০ সেপ্টেম্বর : আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনায় বসার ডাক দেয় রাজ্য় সরকার ।
১১ সেপ্টেম্বর : বৈঠকে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের উপস্থিতি ও তা সরাসরি সম্প্রচারের জন্য় জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি খারিজ করে দেয় রাজ্য় সরকার ।
১৪ সেপ্টেম্বর : আর করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে CBI । FIR দেরি ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ওঠে ।
