১৬৬তম আয়কর দিবস উদযাপন করল আয়কর বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম

১৬৬তম আয়কর দিবস উদযাপন করল আয়কর বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম

রাজ্যের খবর

১৬৬তম আয়কর দিবস উদযাপন করল আয়কর বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম – ভারতের আয়কর প্রবর্তনের ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের আয়কর বিভাগ কলকাতার সায়েন্স সিটি মিনি অডিটোরিয়ামে ১৬৬তম আয়কর দিবস অত্যন্ত উৎসাহ ও মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করে। এই অনুষ্ঠানটি জাতীয় উন্নয়নে করদাতাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতি বিভাগের অঙ্গীকারকে সম্মান জানানো এবং প্রত্যক্ষ কর প্রশাসনের নিরলস প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।

১৬৬তম আয়কর দিবস উদযাপন করল আয়কর বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম
১৬৬তম আয়কর দিবস উদযাপন করল আয়কর বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিম

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শ্রী শুভ্র কমল মুখার্জি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বিসিসিআই-এর প্রাক্তন সভাপতি শ্রী সৌরভ গাঙ্গুলি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের আয়কর বিভাগের প্রধান মুখ্য আয়কর আয়ুক্ত (Principal Chief Commissioner of Income Tax) শ্রীমতি সুরভি বর্মা গার্গ, ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আয়কর (অনুসন্ধান) বিভাগের মহাপরিচালক (Director General of Income Tax) শ্রী অশোক কুমার সারোহা। বিভাগের বিভিন্ন স্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শ্রী শুভ্র কমল মুখার্জি
রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শ্রী শুভ্র কমল মুখার্জি

সন্মানীয় বক্তাগণ তাঁদের ভাষণে করদাতাদের এক দৃঢ় ও স্বনির্ভর জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্বীকার করেন। তাঁরা রাজস্ব সংগ্রহে বিভাগের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে স্বেচ্ছায় কর পরিশোধের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কৃতিত্বপূর্ণ সেবা ও নিষ্ঠার জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়। “Young Tax Leaders Campaign”-এর অংশ হিসেবে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য রচনা লেখা ও পোস্টার তৈরি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিটি বিভাগের শীর্ষ তিনজন বিজয়ীকে অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত করা হয়।

অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে কর সচেতনতা বৃদ্ধির অঙ্গীকার এবং দেশ গঠনে গর্বিত অংশীদার হিসেবে নাগরিকদের আর্থিক দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করার নবীন প্রতিশ্রুতি গ্রহণের মাধ্যমে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *