দেবীপক্ষের সূচনা হতেই পুজো প্যান্ডেলগুলিতে দেবী দুর্গার আগমন শুরু হয়েছে

দেবীপক্ষের সূচনা হতেই পুজো প্যান্ডেলগুলিতে দেবী দুর্গার আগমন শুরু হয়েছে

দুর্গাপুজো

নবরাত্রি উৎসব শুরু আজ থেকে । দেশের বিভিন্ন মন্দিরে ভক্তদের ঢল। দেবীপক্ষের সূচনা হতেই সর্বজনীন পুজো প্যান্ডেলগুলিতে দেবী দুর্গার আগমন হচ্ছে চিরাচরিত আঙ্গিকে। ঐশ্বরিক নারীশক্তির এই উজ্জাপনের পরিকল্পনা মাসখানেক আগে থেকে শুরু হলেও প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে এখন চলছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা।

দক্ষিণ কলকাতার সুরুচি সংঘ তাদের আরাধ্যা দেবীকে বরণ করেছেন একই অঙ্গে অনেক রূপে। ভাবনার আধুনিকতা ও শিল্পীর শিল্পনৈপুনে এক ননাভিরাম দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে।

পিছিয়ে নেই মুদিয়ালী ক্লাবের মাতৃ আরাধনার প্রস্তুতিও। ৮৯ তম বর্ষে তাদের ভাবনার নাম “সমাহারে সমারোহ”। এই প্যান্ডেলে ব্যাবহার করা হয়েছে পূজায় ব্যাবহৃত কাজল লতা, ধুনুচি, বেলপাতার মত ধাতব দ্রব্য। এছাড়া প্যান্ডেলের অলংকৃত সজ্জা, রঙিন আলো, জটিল শিল্পকর্ম লক্ষ্য লক্ষ্য দর্শনার্থীদের মন যে জয় করবে সে বিষয় কোনো সন্দেহ নেই।

দক্ষিণ কলকাতার শিবমন্দির তাদের ভাবনায় এনেছে “আগল”। মাটির খুঁড়ি, হাঁড়ি ও পোড়া মাটি ব্যাবহার করা হয়েছে তাদের আয়োজনে। শিল্পী দীপঙ্কর পালের আয়োজনে পুজো মণ্ডপে পরিবেশ সচেতনতার ছোঁয়া পাওয়া যাবে।

৭৮তম বর্ষে দক্ষিণ কলকাতার সমাজসেবী সংঘের আয়োজনে উঠে এসেছে সাধারণ মানুষের উপাখ্যান। মাতৃপ্রতিমার পাশাপাশি অর্থনীতিতে সমাজের সকল মানুষের যোগদান, অর্থনীতির উন্নয়ন, সার্বিক ধনী দরিদ্রের সম্পৃক্ততার শিখর ছুঁয়েছে তা বলাই যায়।

নজর কাড়ছে উত্তর কলকাতার তেলেঙ্গাবাগান সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি । তাদের ৫৮ তম বর্ষে উপস্থাপন করতে চলেছে “প্রান্তজনের আত্মকথন”। সমাজের প্রান্তিক মানুষজনের দ্বারা সৃষ্ট ক্ষুদ্র শিল্পকর্ম মণ্ডপ সজ্জার অলিন্দে ধরা পড়েছে অত্যন্ত গভীর মুন্সিয়ানায়। কাগজের তৈরি ঠোঙ্গাকে কিভাবে মণ্ডপে ব্যাবহার করে পরিবেশ সচেতনতার পাঠ দেওয়া হয়েছে তার তারিফ করার মত।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *