জীবন সংগ্রামের কাহিনি তুলে ধরলেন নির্যাতিত কিশোরীরা

জীবন সংগ্রামের কাহিনি তুলে ধরলেন নির্যাতিত কিশোরীরা

রাজ্যের খবর

জীবন সংগ্রামের কাহিনি তুলে ধরলেন নির্যাতিত কিশোরীরা – আমাদের সমাজে এখনও কন্যা শিশুরা নানা ধরনের যৌন নির্যাতন,যৌন হিংসা বা বাল্য বিবাহ নামক অভিশাপের শিকার । এইসব প্রতিবন্ধকতার ফলে কন্যা শিশুরা অধিকাংশ সময়ে মানসিক অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মানসিক গঠনেও সমস্যা দেখা দেয়।

একটা ট্রমার মধ্যে থেকে জীবন কাটাতে হয়। এই সব নির্যাতনের শিকার হওয়া কন্যা শিশুরা শোনালেন তাদের জীবন যন্ত্রণার কাহিনী। কিভাবে যন্ত্রনার জীবন থেকে উদ্ধার করে তাদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে এনে স্বনীর্ভর করে তুলেছে জীবীকা সেই কাহিনীও তারা তুলে ধরেন।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জীবিকা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে এইসব কন্যা শিশুদের জীবনের মুল স্রোতে ফিরিয়ে এনে তাদের স্বনির্ভর করে তুলতে কলকাতার বালিগঞ্জে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয় শনিবার। ‘একটি মেয়ের পরিবর্তনের কাহিনী’’ শির্ষক এই আলোচনাসভায় যৌন নির্যাতন, বাল্য বিবাহের শিকার হওয়া কিশোরী মেয়েরা তাদের জীবন সংগ্রামের কাহিনী তুলে ধরেন।

কর্মশালার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন তুলিকা দাস। উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান জিউইশ ওয়ার্ল্ড সার্ভিস-এর নেত্রী রমা বেদুলা, জীবিকার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও পরামর্শদাতা রাজা মেনন, প্রাক্তন সিডব্লিউসি চেয়ারপার্সন শ্রীমতী অনিন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজকর্মী ও এনওএসকেকে-র সম্পাদক শ্রীমতী রহিমা খাতুন।

জীবিকা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির নির্দেশক ডালিয়া রায় বলেন, সমাজে বৈষম্যের শিকার হওয়া নারী ও শিশুদের অধিকার এবং ক্ষমতায়নের জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন সারা রাজ্য জুড়ে।

নারীদের ক্ষমতায়ন ও অধিকার রক্ষায় সারা পৃথিবী জুড়ে যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে নারী-পুরুষ বৈষম্যহীন সম অধিকার সম্পন্ন সমাজ গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, সমাজে কন্যা শিশুদের অতিরিক্ত সমাজিক এবং পারিবারিক রক্ষণশীলতার কারনে তাদের মানসিক বিকাশ সম্পূর্ণ রূপে ঘটেনা। ফলে তারা অনেক সময় মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে যা বাইরে প্রকাশ করতেও অপারগ হয়।

মানসিক স্বাস্থ্য যে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিশেষত কন্যা শিশুদের জন্য তা অধিকাংশ মানুষ এবং পরিবার উপলব্ধি করতে পরেন না। মানসিক সুস্থতা মানসিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্য, যা কন্যা শিশুদের জীবনে তাদের সুপ্ত সম্ভাবনা উদ্ভাবন করতে সহায়ক হয়।

এই কর্মশালার মাধ্যমে কন্যশিশুদের সৃজনশীল শিল্প সুষমার বিকাশের পাশাপাশি তাদের মানসিক সুস্বাস্থ বৃদ্ধির ব্যাপারেও সচেতন করা হয়। জীবিকা ছাড়াও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনীধি ও কন্যা শিশুরা এদিনের কর্মশালায় অংশ নেন। মেয়েরা জানান, এই শিল্প কর্মশালা তাদের ব্যক্তিগত প্রতিভা বিকাশে এবং মানসিক স্বাস্থ্য বর্ধনে সহায়ক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *