ভারতের মন্দির – জ্বালামুখী (Jawalamukhi)

ভারতের মন্দির – জ্বালামুখী (Jawalamukhi)

ভ্রমণ

ভারতের মন্দিরজ্বালামুখী (Jawalamukhi)

হিমাচলের কাংড়া থেকে ৩৬ কিলােমিটার দূরে জ্বালামুখী ( Jawalamukhi)। মন্দির নিয়েই শহর। ৬১০ মিটার উচ্চ জ্বালাজী মন্দির। বিষ্ণুচক্রে টুকরাে হয়ে সতীর জিহ্বার পতন এই কালীধর পাহাড়ে। ৫১ সতীপীঠের অন্যতম এই জ্বালামুখী। একশাে বছর আগে কোনাে এক রাখাল প্রথম দেখতে পায় এখানকার জ্বলন্ত শিখা। এখানে মন্দির নির্মাণ করেন কটোক রাজা ভূমিচন্দ্র। আজও সতীর জিহ্বা মন্দিরের গহ্বরে নীলাভ শিখায় জ্বলছে। বিষ্ণুচক্রে কর্তিত হওয়ার পর সতীর জিহ্বা অগ্নিশিখারূপে এই পর্বতে অবস্থান করতে থাকে।

ভারতের মন্দির – জ্বালামুখী (Jawalamukhi)
ভারতের মন্দির – জ্বালামুখী (Jawalamukhi)

জ্বালামুখী মন্দিরের জ্যোর্তিময়ী দেবী কালী। হিমাচলের জ্বালামুখী মন্দিরে সাতটি অগ্নিশিখারূপেই ভক্তের চোখের সামনে ধরা দেন দেবী কালী। জ্বালামুখী মন্দির একান্নটি সতীপীঠের অন্যতম সতীপীঠ। এখানেই পতিত হয়েছিল দেবী সতীর জিহ্বা। তাই দেবী এখানে অবস্থান করেন সিদ্ধিদা রূপে, তাঁর ভৈরব উন্মত্ত। জিহ্বা পতিত হয়েছিল বলে অগ্নিময় জিহ্বারূপেই ভক্তদের দর্শন দেন দেবী। সেই সাতটি অগ্নিশিখা বস্তুত অনির্বাণ। শতাব্দীর পর শতাব্দী সেই অগ্নিশিখা জ্বলছে। একবারের জন্যও তা নেভেনি। অনেকে বলে থাকেন, ওই অনির্বাণ অগ্নিশিখা পর্বতজাত প্রাকৃতিক গ্যাসের আগুনে রূপান্তর। ভারত সরকার সেই রহস্যভেদের জন্য গবেষণাও চালায়। কিন্তু, ওই পাহাড়ে কোনও প্রাকৃতিক গ্যাসের অস্তিত্ব মেলেনি।

এখানে দেবীর কোনাে স্মৃতি নেই। অনির্বাণ শিখাকেই দেবীর প্রতিভু মনে করে পূজা করা হয়।এখানে রয়েছে দুটি ঝরনা। এপ্রিল ও অক্টোবরে এখানে নবরাত্রির উৎসব হয়। দূরদুরান্ত থেকে তীর্থযাত্রীরা আসেন। মূল মন্দিরে রয়েছে নানা দেব-দেবীর মূর্তি। দেবী মন্দিরের উপরের পাহাড়ে রয়েছে বাবা গােরক্ষনাথের মন্দির। ৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বেছে রঘুনাথজীর মন্দির।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *