পিএস ভোপাল যেটির পরিবর্তিত নাম বেঙ্গল প্যাডেল, এখন পর্যটনক্ষেত্র

পিএস ভোপাল যেটির পরিবর্তিত নাম বেঙ্গল প্যাডেল, এখন পর্যটনক্ষেত্র

ভ্রমণ

পিএস ভোপাল যেটির পরিবর্তিত নাম বেঙ্গল প্যাডেল, এখন পর্যটনক্ষেত্র

পিএস ভোপাল যেটির পরিবর্তিত নাম বেঙ্গল প্যাডেল, এখন পর্যটনক্ষেত্র – হাওড়া-কলকাতা যাতায়াত করতে বহু মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী ছিল এই প্যাডেল স্টিমার। এমনকী ঢাকা-কলকাতার নৌপথেও চলত প্যাডেল স্টিমার। বিকাল গড়ানো মাত্র নিত্যদিনের যাত্রীরা ভিড় করেন কলকাতার ঘাটে-ঘাটে। শোনা যায় স্টিমারের আওয়াজ। তবে এই স্টিমার চলে ডিজেলে। একটা সময় ছিল যখন কয়লার আঁচে স্টিমার চলত। আর সাইকেলের চাকার মতো দু’পাশে চার থেকে আট জোড়া প্যাডেল ওঠা-নামা করে এগিয়ে চলত গন্তব্যের দিকে। সেটা ছিল প্যাডেল স্টিমার। সেই প্যাডেল স্টিমারের ভোঁ ভোঁ আওয়াজ ৭০ বছরেরও বেশি সময় হয়ে গিয়েছে হাওড়া-কলকাতাবাসী শোনেনি। তবে খুব দ্রুত হুগলি নদীর বুকে আবার শুরু হতে চলেছে প্যাডেল স্টিমার। কিন্তু এবার আর পুরনো কলকাতার মতো নিত্যদিনের সঙ্গী হবে না এই ঐতিহ্যবাহী স্টিমার। বরং গঙ্গাবক্ষে হেরিটেজ ক্রুজ ভ্রমণে আবার নামতে চলেছে ‘পিএস ভোপাল’।

পিএস ভোপাল যেটির পরিবর্তিত নাম বেঙ্গল প্যাডেল, এখন পর্যটনক্ষেত্র

হুগলি নদীর বুকে অনেক বছর আগেই প্যাডেল স্টিমারের অস্তিত্ব মুছে গিয়েছে। তবে, পদ্মায় এখনও দেখা মেলে প্যাডেল স্টিমারের। ঢাকায় প্রায় ৯০ বছর ধরে ব্রিটিশ আমলের প্যাডেল স্টিমার এখনও প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ চলতে পারে। যদিও সেগুলো এখন ডিজেলে চলে।

 

পিএস ভোপাল যেটির পরিবর্তিত নাম বেঙ্গল প্যাডেল, এর সফলতার সাথে ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে, এবং গঙ্গা নদীবক্ষে পর্যটনের জন্য এই জাহাজ ব্যবহৃত হতে পারে, এছাড়াও এটি সংগ্রহশালাতে জাহাজ সংক্রান্ত জিনিসপত্র সাধারণ মানুষকে মেরিন সম্পর্কে জানান শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী পোর্ট এর মেরিন ডিপার্টমেন্ট ইনচার্জ ক্যাপটেন অভিজিৎ ঘোষ।

 

এই স্টিমার হচ্ছে একমাত্র প্যাডেল স্টিমার যা কলকাতার ঐতিহ্য বহন করে। 1940-এর দশকে UK র ডাম্বারটন শিপইয়ার্ডে নির্মিত, এই প্যাডেল স্টিমার ‘PS ভোপাল’ শীঘ্রই হুগলি নদীতে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছে এবং কলকাতা বন্দরের ঐতিহ্যবাহী সফর কর্মসূচিতে একটি পূর্ণতা দেবে, এমনটাই আশা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী পোর্ট এর প্ল্যানিং ও রিসার্চের জয়েন্ট ডিরেক্টর কৌশিক চ্যাটার্জি।

 

পিএস ভোপাল যেটির পরিবর্তিত নাম বেঙ্গল প্যাডেল, এখন পর্যটনক্ষেত্র

এই স্টিমারের আগের সেই ঐতিহ্যগত মান বজায় রেখেই পুনরুদ্ধার এবং সংস্কার করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মেলবন্ধনে স্টিমারটি তৈরি করে জলে নামাতে পারবে । ইস্টার্ন নেভিগেশন প্রাইভেট লিমিটেড নামক ওই বেসরকারি সংস্থার হাতে হেরিটেজ স্টিমারটি তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ বছরের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ইস্টার্ন নেভিগেশন প্রাইভেট লিমিটেড এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মুকুল সিংহী।

 

এই ঐতিহ্যবাহী প্যাডেল স্টিমার গঙ্গাবক্ষে কলকাতার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে দেশ-বিদেশের পর্যটক টানতেও সুবিধা হবে। আগে এই প্যাডেল স্টিমারটিতে ২৫-৩০ জন যাত্রী সওয়ারি করতে পারত। কিন্তু এই নতুন ‘পিএস ভোপাল’ সেজে অন্যরূপে। এখন হেরিটেজ ক্রুজ ভ্রমণে যেতে পারবেন ১০০ জন। তিনতল বিশিষ্ট এই স্টিমারে থাকছে প্রদর্শনী হল সহ ওপেন ডেক, ডাইনিং এরিয়া। প্রদর্শিত হবে ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে সংগ্রহ করা স্টিমারের ইতিহাস।

 

আরও পড়ুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *